Tuesday, August 31, 2021

জয়দী্র মৈত্র আলোচনা করেছেন সোনালী চক্রবর্তীর কাব্যগ্রন্হ "জামার নীচে অলীক মানুষ"

 

"জামার নিচে অলীক মানুষ প্রসঙ্গে"
দৃশ্য কখনো ছবি। ছবি কখনও ভেজা। যেভাবে জল কখনও শুকনো। ফলের যেটুকু নিচে বালি, কামড়ানোর ততটা ওপরেই মরিচীকা। মানুষের মতোই অলীক। মানুষ পথ হারাতে হারাতে অন্ধকার। খুঁজতে খুঁজতে আর পথ নেই। পথের আলো তার হাড়গোড় বিছিয়ে বিস্মৃত এক আক্রমণের মত ঘুমোয়। এটুকু প্রথম অনুভূতি।
টুকরো টুকরো দৃশ্যে কিছু কবিতা উঠে এসেছে। কিছু কবিতায় দর্শন আছে। প্রগাঢ় অনুভব আছে। এমনকি অতিকথন আছে। অতিকথন প্রথম কবিতার বইয়ের অলংকার। মাতৃতান্ত্রিকতার হাওয়ায় মা ও তন্ত্রবীজ উড়ে উড়ে ভেঙেছে কিছু লেখায়। আজকের আপনার লেখা যেখানে দাঁড়িয়ে, তার শিলান্যাস৷ কবিতার শিলান্যাস যদিও অনেকটা পালকের কারখানার মত।
অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্য আবহ এসেছে। কবি রসদের চাঞ্চল্য পেরিয়ে কখনো রসের স্থিরতায় এসেছেন। কখনো উপমার শেষে এঁকেছেন উপমাহীন এক বিন্দু৷
অন্ধকার এবং বিষাদ এ বইয়ের পরতে পরতে। তবু প্রচ্ছদের যে মানুষটা পাথরের পরীকে চাঁদ দেখাচ্ছে, সে কি খুঁজছে কাউকে? অলীক নয়৷ অলৌকিক সে মানুষ। জামার নিচে নয়, জামার অনেক ভেতরে তার বর্ণময় ত্বকজগত।
*আপনি পরিচিত দৃশ্যকে পুরাণ বানাতে পেরেছেন*। এটা মোটা করে লিখলাম, কারণ এই বইটি নিয়ে এক কথায় বলতে গেলে এই কথাটাই উঠে আসছে বারবার৷
উদাহরণের ভিড়ে লেখার পরিধি বাড়ালাম না। আপনাকেই আপনার লেখার অংশ তুলে তুলে দেখাব কেনই বা?
লেখায় থাকুন। শুভেচ্ছা।"
✍🏻জয়দীপ মৈত্র

 

No comments:

Post a Comment